সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনে জাতীয় সংসদের আসন্ন উপ-নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দুই প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় দফা উপ-নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ততই তুঙ্গে উঠছে। ভোটারদের মাঝেও উত্সাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এ নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আফরুজা বারী (নৌকা মার্কা), জাপা (এ) মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (লাঙ্গল মার্কা), গণফ্রন্ট মনোনীত শরিফুল ইসলাম (মাছ মার্কা) ও এনপিপি মনোনীত জিয়া জামান খান (আম মার্কা)। এর মধ্যে জিয়া জামান খান ও শরিফুল ইসলামের প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের তেমন কোনো অগ্রগতি না থাকায় ভোটারদের মাঝে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না। এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আফরুজা বারী নৌকা মার্কা ও জাতীয় পার্টি (এ) মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর লাঙ্গল মার্কার প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী এলাকা এখন মুখরিত। শুধু পুরুষ কর্মীরাই নয়, নারী কর্মীরাও রাতদিন বাড়ি বাড়ি, রাস্তা-ঘাটসহ জনবহুল এলাকাগুলোতে ভোটারদের মাঝে নিজেদের প্রার্থীর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন। এছাড়া নারী ভোটারদের মাঝে নারী কর্মীরা পান-সুপারি, খুরমা-জিলাপি বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়ানোসহ পথসভা, গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। অনেক সাধারণ ভোটাররা ভাবছেন নৌকা ও লাঙ্গল একসূত্রে গাঁথা। তাই নৌকার মাঝি হওয়াই ভালো। এদিকে আসনটি জাতীয় পার্টির হলেও ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাতছাড়া হওয়ায় তা পুনরুদ্ধারে নেতাকর্মীরাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন।
আগামী ১৩ মার্চ জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে ১০৯টি কেন্দ্রে তিন লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন ভোটার ভোট প্রদান করবেন বলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৫মার্চ২০১৮/ইকবাল